Friday, April 6, 2018

দিয়া,                                                 

আজ তোর জন্মদিন। 

এইরকমই একটা মন ভালো করা দিনে মায়ের কাছে এসেছিলি। তারপর সবার মাঝখানে হাসি আর আদরের ফোয়ারা নিয়ে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছিস। আজকে তোর জন্মদিনে মা কে দেখে মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব আনন্দ টুকু, সবটুকু যেন মায়ের হাতের মুঠোয় ভরা আছে। 

খুব সাবধানে যত্নে মা তুলে রাখবে দিদার পুরোনো সেগুন কাঠের সিন্দুক টায়।দিদার সিন্দুক টাও দিদার মতো। কত বছর ধরে কত নতুন অতিথির আগমন দেখে আর তাদের প্রত্যেক টা মুহূর্ত সাজিয়ে রেখে দেয়। তোরা বড় হয়ে দেখবি বলে। তুই যখন ছুটে দিদার কাছে আবদার করিস, দিদার মনে হয় তোর মুখের দিকে তাকালে নকশী কাঁথার মত আজো স্বপ্ন বুনে ফেলা যায়। সেই সহজে বুনে ফেলা স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে তুই একটু একটু করে বড় হচ্ছিস। 

তুই হাসলে বাবা ভাবে ছাদের উত্তরের কোনটায় যেন রোদ্দুর খেলে বেড়াচ্ছে। বাবার সব ক্লান্তি দূর করে দেয়। আর বাবা ভাবে, দিয়া যেন কোনোদিন বড়ো না হয়। 

তুই যখন কাঁদিস, দাদু মনে মনে ভাবে, পুরো পৃথিবীর সাথে লড়াই করবে। তোর চোখের দুফোটা জল ও যে দাদুর কাছে বড্ডো দামি। 

ঠিক এইভাবেই মা বাবা দাদু দিদার মাঝখানে বেড়ে উটছিস তুই। 

তোর এক ঝাঁক সোনালী চুল যখন সকালবেলায় বড্ডো অবাধ্য, তখন সূর্যের আলোয় তোর চোখ দুটো যেন গোটা আকাশ তা ভরে নেয়। তোর খুব সহজে গালভরা হাসি সারাদিনের রসদ যোগায়। তুই এইভাবেই বড় হয়ে ওঠ। 

মেঘের আড়াল থেকে এক ফালি চাঁদ তোর বেড়ে ওঠার সাক্ষী থাকুক। তখন এই চিঠিটায় আমার কথা মনে করিস।।